শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছে অনেক। কেউ কেউ মিডিয়া ফ্রন্ট লাইনে চলে এসেছে। আবার কেউ কেউ তার কোনো নাম গন্ধ পাই নাই। এরকম একজন নাইমুর রহমান। গুলশান ডিগ্রী কলেজের ছাত্র আন্দোলনে নিহত হলেও খোজ রাখে নাই কেউ।
এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নিহত পরিবার। ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে ভালো নেই নাইমুরের পরিবার।
নিহত নাইমের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের টেংরামারী গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে। নাইমের পরিবারে মা-বাবা ও দুই ভাই রয়েছে।
থানার মামলা সূত্র জানায়, আন্দােলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। এরপর তার দেহ গ্যারেজে ফেলে রাখে, ফলে বাঁচার আশংঙ্কা থাকলেও বিনা চিকিৎসায় গাড়ির গ্যারেজে মৃত্যুবরণ করে। সংবাদ পেয়ে বাদী দ্রুত ছুটে গিয়ে ৮/১০ জন ভিক্টিমের লাশের মধ্যে তার মোঃ নাইমুর রহমানকে বুকে গুলিবিদ্ধ রক্তস্নাত অবস্থায় খুজে পান তার আত্নীয় স্বজন।
মামলার বাদী হাসপাতালের রিসিপশনে গিয়ে ভিক্টিমের মৃত্যুর বিষয়ে একটি ডেথ সার্টিফিকেট চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ “নিষেধ আছে, দেয়া যাবে না, আপনারা লাশ নিয়ে যান” বলে একরকম ভিক্টিমের লাশ নিয়ে যেতে বাদীকে বাধ্য করেন। বাদী তার পুত্রের লাশ নিয়ে ঢাকার বাসায় এসে গোসল দিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে মাদারীপুরস্থ স্থায়ী ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে দাফনের করেন।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply