মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :
আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. আব্দুস সোবহান গোলাপ। মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। এবারও তিনি নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।
রোববার সকালে মাদারীপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শরীফুল হকের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন তিনি।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ডা. আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, “হ্যাঁ, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে দেখেছি, অনেক লোক কালকিনিতে উপস্থিত ছিল। আমি জানি না, এখানে আচরণবিধি ভঙ্গ আমি কোথায় করলাম?
“যা হয়েছে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়েই হয়েছে। আমরা দ্বারা আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে হয় না।”
নিজেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে আব্দুস সোবহান গোলাপ আরও বলেন, “আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আমি আমার লিখিত বক্তব্য দিয়েছি। এখন আদালত তদন্ত করে বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল মিলিয়ে প্রায় দুইশ গাড়ির বহর নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন গোলাপ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় গোলাপের সঙ্গে ব্যান্ড পার্টিও ছিল। এতে উপজেলার প্রধান সড়কে দুই ঘণ্টার বেশি সময় যানজট সৃষ্টি হয়; ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে প্রার্থীসহ পাঁচজনের প্রবেশের নিয়ম থাকলেও ডা. আব্দুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা ঝাঁক বেঁধে সেখানে ঢুকে পড়েন। তারা ডা. আব্দুস সোবহান গোলাপের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এ সময় তাদের বার বার মানা করা সত্ত্বেও কেউ তা আমলে নেয়নি।
ওই ঘটনায় মাদারীপুর-৩ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ও তৌফিকুজ্জামান শাহিন নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দেন গোলাপের বিরুদ্ধে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply