কালকিনি(মাদারীপুর)প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে আহত করেছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক। এর মধ্যে এক ছাত্রের আঙ্গুল ও অন্য আরেক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে গিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা সবাই কালকিনির বাশগাড়ি ইউনিয়নের খাশের হাট বন্দরের খাশের হাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের বাসিন্ধা।
গতকাল বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও রাতে তা প্রকাশ পায়। এরপর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালাতক রয়েছেন। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালকিনি থানার ওসি ঘটনাস্থল পরির্দশ করেন এবং এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জনান, বিকেলে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করার সময় একটি মুখপোড়া হনুমান আসে ছাদের উপর। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে। এ ঢিল ছোড়ার ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার দিলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আছরের নামাজ পড়তে চলে যান। এরপর মাদ্রাসার ক্লাশ শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ ৪ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাবিবর আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল ঘুষিও মারেন তিনি। এতে সাইম প্যাদার হাত ও আবির হোসেন এর বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়।আহতরা সবাই প্রথম জামাতের ছাত্র। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা মাদ্রাসা ঘিরে রাখে।এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালিরা পরিস্থিথি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করেন।এরমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন ও ঘটনা তাদের মুখে শোনান।পরে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে, ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply