মোঃ রুবেল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুর শিবচরসহ বিভিন্ন উপজেলায় শীতের আগমনীবার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে ধুনারীদের তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে।
পৌষ-মাঘ না এলেও শীতের আগমনী বার্তায় বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। আর শীত এলে কদর বাড়ে লেপ-তোষকের।এই সময়ে সাধারণ মানুষ ভিড় জমান লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে। পাতলা কাঁথার আবেশ ভুলে লেপের উষ্ণতা উপভোগ করতে চান সবাই। যে কারণে চলছে লেপ-তোষক বিক্রির ধুম।
সপ্তাহ দুয়েক সময় ধরে এ জেলায় শীত ও কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ভোরবেলায় কুয়াশায় ঢেকে যায় সবুজ মাঠ। সামনে পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। তাই মানুষজন আগে ভাগেই লেপ, তোষক বানাতে শুরু করেছে।
এছাড়াও মেয়ে-জামাই এর বাড়িতে বালিশ, লেপ, তোষক দেওয়াটাও একটি ঐতিহ্য রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের।
তাই লেপ-তোষক কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা।কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ, তোষক ও বালিশ।উপজেলার প্রতিটি বাজারে একই চিত্র।
শিবচরে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন এই এলাকার লেপ-তোষকের কারিগর ও দোকান মালিকরা।তাদের একজন কালাচান খলিফা। উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের বেইলী ব্রীজ বাজারে তার দোকান তিনি বললেন,হালকা শীত পড়ায় লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে।
কথা হয়,একই এলাকার দোকানদার আলতাফ ফরাজির সাথে তিনি জানান, শীত বাড়ায় অন্য সময়ের তুলনায় বেচাকেনা একটু বেশি বেড়েছে।
জানা গেছে, লেপ তোষকের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি নামে বেনামে বিছানার ফোম তৈরি করে বিক্রি করছে। তাছাড়া, বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের মোটা লেপ ও বিভিন্ন কোম্পানির কম্বলে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে।
আরও জানা যায়,জিনিসপত্রের (তুলা, কাপড়) দাম বেশি থাকার কারণে এ বছর আগের তুলনায় একটু দাম বেশি নিচ্ছে।
লেপ তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে,তুলা ভেদে লেপ-তোষকের দা। পলি, শিমুল, পিসি, মাহিশা, ফাইবার, কার্পাস, উল, ব্লাজার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তুলা আছে বাজারে। তবে শিমুল ও কার্পাস তুলার লেপ-তোষক বা বালিশমের পার্থক্য আছে। মজুরিও একেক রকম বানাতে খরচটা বেশি পড়ে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply