ইমতিয়াজ আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুরে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি। আর সে কারণেই নিত্যদিনের বাজার করতে আসা ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বাজার করতে এখন নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের!
ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে দোকানিরা চাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলেও নেই নজরদারি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নিত্যপণ্য কিনতে এসে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পণ্যের নির্ধারিত মূল্যেরও কম দামে বিক্রি করছেন তারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল পাম অয়েল ১৪০-১৪৫ টাকা, সুপার তেল ১৪৫-১৫০ টাকা, ১ নম্বর সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা ও বেতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৬-১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০-১৩৫ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১০৫-১০০ টাকা, ফাঁটি মসুরের ডাল ৯০-৯৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া মুগ ডাল প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০-৯৫ টাকা, অ্যাংকর ৬০-৬৫ টাকা ও বুটের ডাল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকা ও প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর জেলায় প্রায় দুইশ হাটবাজার রয়েছে। এসব হাটবাজার মনিটরিং করার জন্য মাত্র দুইজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এদের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক ও একজন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কাজ করছেন।
ক্রেতারা জানান, আয়ের চেয়ে এখন ব্যয় বেশি। একজন দিনমজুর তিনদিনে যা আয় করে, একদিনের বাজারেই তা শেষ হয়ে যায়। বাজারে পণ্যসামগ্রী একটু কম দাম হলে ভালো হতো। যাদের আয় কম, তাদের বাজার সদাই করতে কষ্ট হচ্ছে।
শহরের পুরান বাজারের বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাজারে কেনাবেচা একই রকম আছে। ক্রেতারা তো অভিযোগ দেবেই। তবে কোনো দোকানি কখনই বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে না। আমরা স্বাভাবিক দামেই বিক্রি করছি।
আরেক মুদি দোকানি জাকির হোসেন বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য ও বাজারের সঙ্গে মিল রেখেই কেনাবেচা করছি। কোনো পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হয় না।
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। কোনো বিক্রেতা যদি বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাদারীপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘জনবল কম থাকায় অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়। তারপরও ক্রেতাদের সুবিধার্থে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply