শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন সকালে ঢাকা ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ওয়ে গণপরিবহন চলাচল করছে সীমিত আকারে। যানবাহন কম চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ও দিনমজুর শ্রেনীর লোকজন। এদের একজন দিনমজুর হালিম মোল্লা। যিনি সকাল থেকে বিকেল পলিথিনের প্যাকেটে করে বিক্রি করেন সিঙ্গারা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে এক্সপ্রেস ওয়ের শিবচরে পাঁচ্চর বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় সিঙ্গারা বিক্রিতে হালিম মোল্লার সাথে।
হালিম মোল্লা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের রাজারচর চৈতা মোল্লার কান্দি গ্রামে জৈনদ্দিন মোল্লার ছেলে।
প্রায় বিশ বছর ধরে সিঙ্গারা বিক্রি করেন তিনি। একসময় কাওড়াকান্দি ফেরি ঘাটে পরে কাঠালবাড়ি ও বাংলাবাজার ঘাটেও সিঙ্গারা বিক্রি করতেন। লঞ্চে, ফেরিতে বিক্রি করতেন সিঙ্গারা। ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পাচ্চর বাস স্টান্ডে বাসে, স্ট্যান্ডে তিনি বিক্রি করেন।অনেক সময় পরিবহনে উঠে পদ্মা সেতু পর্যন্ত যান তিনি সেখান থেকে আবার ফিরতি গাড়িতে পাঁচ্চরে চলে আসেন।”
তিনি জানান, ‘আজ সকালে তিনি প্রায় ৪ শত সিঙ্গারা বিক্রির উদ্দেশ্য এখানে এসেছেন। তবে অবরোধের কথা জানতেন না তিনি।অবরোধে তার অনেক ক্ষতি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ’প্রতিদিন তিনি এক একটি প্যাকেটে ৪ টি করে প্রায় ১০০ প্যাকেট সিঙ্গারা বিক্রি করেন। এতে তার সংসার চলে। দুই ছেলে আর তিন মেয়ের তার। ইতোমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে ৪ শর মত সিঙ্গারা বিক্রি করেন তিনি। একসময় সিঙ্গারা বিক্রির পাশাপাশি দুইটি গরুও লালন পালন করছেন তিনি। দুই বছর আগে ওই গরু বিক্রি করে মেয়েদের বিবাহ দিয়েছেন। বর্তমানে কোন গরু নেই। এই সিঙ্গারা বিক্রি করে সংসার চালান।
এসময় তিনি আরো জানান, আমাদের মত দিনমজুরদের হরতাল, অবরোধ অনেক ক্ষতি করে।এসময় লোকজন যাতায়াত করেনা।গাড়ি ঠিকমত থাকে না।ব্রাক এনজিও থেকে তিনি লোন নিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে নিকটস্থ ব্রাক অফিসে ১১ শত টাকা কিন্তিও দেন তিনি।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply