রকিবুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেছেন মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপির অসমাপ্ত কাজগুলো যেভাবে আমি করছি এবং করবো, ঠিক তেমনি তার পরিবারের যখনি কোন প্রয়োজন হবে আমি পাশে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত ২টা ৫ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে সকালে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে সৈয়দ আবুল হোসেনের গুলশানের বাসায় ছুটে যান মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি ড.আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।
মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন-এর মৃত্যুতে তার শোক-সন্তাপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বাংলাদেশর আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।
মাদারীপুর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ড.আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ জানান, “আমি সংবাদ পেয়ে সকালে তার গুলশানের বাসায় গিয়ে শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি এবং যেকোন কাজের জন্য পাশে থাকার কথা বলেছি। এছাড়া আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন তার সামরিক সচিবের মাধ্যমে ও তার বোন শেখ রেহেনা আমাকে একই কথা বলেছেন। আমি তার পরিবারের পাশে যেন থাকি এবং খোজ খবর নেই।আমি সারাদিনই খোজখবর নিয়েছি এবং তার জানাজায় থাকবো এবং এলাকায় দাফনেও থাকবো।পাশাপাশি তার পরিবারের সকল তদারকি করবো ইনশাহআল্লাহ।
এমপি গোলাপ আরও বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেনের অসমাপ্ত কাজগুলো আমি অনেকটাই শেষ করেছি, তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেকগুলো ভবন করে দিয়েছি। তিনি ডাসারকে উপজেলা করতে চেয়েছিলেন সেটাও করেছি, আমরা মাদারীপুরের তিনজন এমপি, মাদারীপুর-১ এর এমপি চীফ হুইপ নূর ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ এর এমপি শাজাহান খান ও আমি মাদারীপুর-৩ এর এমপি’র ডিউ লেটারে স্বাক্ষরে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে ডাসারকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এতে মাদারীপুর জেলা সি গ্রেড থেকে বি গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। আমি সবসময় চেস্টা করেছি এলাকার সকল উন্নয়নের কাজের সাথে থাকতে এবং ভবিষ্যতেও এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবো।”
জানা যায়,সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামীলী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে তিনি ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া ২০০২ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে সৈয়দ আবুল হোসেন এক স্ত্রী (খাজা নার্গিস) ও দুই মেয়ে (সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেন) রেখে গেছেন।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply