মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
প্রজজন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় বিনিময় নিষিদ্ধকালীন সময়ে ২২দিন বরগুনার আমতলী উপজেলার জেলেদের কাছ থেকে উপজেলার সকল এনজিও এর ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত ওই পত্র উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় প্রজ্ঞাপন হিসেবে জারি করে আজ (১৭ অক্টোবর) প্রকাশ করেন। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেন গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নদ-নদী ও সাগরে ইলিশ মাছ শিকার আহরন পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকায় উক্ত সময়ে মৎস্যজীবিগন নদী/সাগরে মাছ আহরন করতে যেতে পারেনা। ফলে তাদের আয়- রোজগার বন্দ হয়ে যায়। উক্ত সময়ে তাদের পরিবারের খরচ চালিয়ে এনজিওর ঋণের কিস্তি দেয়া কষ্টকর। তাই উক্ত সময়ে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় বন্দ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে নিরাপদ প্রজননের জন্য (১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত) ২২ দিন মা ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, সরকার প্রজনন মৌসুমে নিরাপদ প্রজননের জন্য ২২ দিন পর্যন্ত মা ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে সরকার ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে। ওই সময়ে জেলেরা বেকার হয়ে তাদের আয় রোজগার বন্দ থাকে। পরিবারের খরচ চালিয়ে এনজিওর ঋণের কিস্তি দেয়া তাদের জন্য কষ্টকর। তাই নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের কাছ থেকে এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় বন্দ রাখার জন্য সকল এনজিওকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply