নিজস্ব প্রতিবেদক | মাদারীপুরসময় ডটকম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রেল সংযোগটা হল। পদ্মাসেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ লৌহজং মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন প্রান্তে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন শেষে ট্রেন যাত্রী হিসাবে এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।
নদী পদ্মার ওপর দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালুর পর এবার ট্রেন যোগাযোগের উদ্বোধন করলেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যাতাযাতের স্বপ্ন পূরণ হলো।
মাওয়া প্রান্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ চেপে রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় এলেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে সড়কপথে মাওয়ায় সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সুধী সমাবেশে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা করেন। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছান এবং সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল সংযোগটা হল। পদ্মাসেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ, যাদের কথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না, এই আত্মবিশ্বাসটা তার কাছ থেকে আমাদের কাছে এসেছে।
যারা শ্রম দিয়েছে সবাইকে কাজ করেছে তাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ধন্যবাদ জানা দেশবাসীকে। লাখো লাখো শুকরিয়া আদায় করি। আর দেশবাসীর কাছেও দোয়া চাই।
ট্রেনে চড়ে গোলাপগঞ্জ কবে যাবেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাবো যখন সময় হবে।
ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাইরে আরও ৫০ জনকে সফর সঙ্গী হিসেবে নেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply