মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দলিল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে মাদারীপুর সদর সাব রেজিস্ট্রারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের (সদর) বিচারক অভিজিত চৌধুরী পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার লিটন মোল্লার স্ত্রী নাজমিন আক্তার। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মামলা দায়েরের বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সুলতান মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৪৪৪/২০১১ নং দলিল মুলে লিটন মোল্লা ও দুলাল মোল্লা বরাবরে চৌহদ্দি দিয়ে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এই দলিলের তৃতীয় পৃষ্ঠার ২১ নং লাইন শেষের আগে নুতন ভাবে মূল দলিল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে টেম্পারিং করে কম্পোজ করা হয়েছে এবং বালাম বইতে লাল কালির মাধ্যমে মূল দলিলের উপরের অংশ টেম্পারিং করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে মাদারীপুর সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান, নকলনবীস দিদার হোসেন ও নিনা আক্তার, দলিল লেখক দিদার হোসেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ড কিপার বিশ্বদেব দাস ও অফিস সহকারী আলি মিয়া এবং মহিষেরচর এলাকার দুলাল মোল্লা জড়িত বলে দাবি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জামিনুর হোসেন মিঠু জানান, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে দলিল টেম্পারিং করেছে যা গুরুতর অপরাধ। তাই গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভোষ্টগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি আমার বাদী ন্যায় বিচার পাবেন।
বাদীর স্বামী লিটন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার পর মামলা তুলে নিতে সাব রেজিস্ট্রার বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
এব্যপারে অভিযুক্ত সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। আদালতের মামলা আইনি প্রক্রীয়ায় মাধ্যমেই জবাব দেওয়া হবে।
জেলা রেজিস্ট্রার মুনিরুল হাসান বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমরা নিজেরাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কেউ দোষি প্রমাণিত হলে তার সাজা হবে। এছাড়াও মামলায় আদালত যে রায় দেবে সেটা তো মেনে নিতেই হবে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply