মাদারীপুরসময় ডটকম ডেক্স :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের শিবচরের ২টি স্টেশন হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪ ধাপে ৪ স্তরের গতিতে ট্রায়াল ট্রেন দিয়ে সফলভাবে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এসময় মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় ট্রায়াল ট্রেনটি। সর্বনিম্ন ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি ও সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটে ট্রেনটি উভয় প্রান্তে পৌছায়। পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাঝে সন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন ঢাকা ভাঙ্গা রেলপথের। সেই উপলক্ষ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন,চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অসংখ্য সংসদ সদস্যর উপস্থিতিতে ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গতিতে রেলের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনকে ঘিরে শুক্রবার সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ৫টি বগি সম্মিলিত যাত্রীবাহী ট্রেনটি মাদারীপুরের শিবচরের ২টি স্টেশন,পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত যায়। এসময় ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ৬০-৬৫ কিলোমিটার আর পদ্মা সেতু পার হয় ৭ মিনিটে। ট্রেনটি পৌছায় ৫১ মিনিটে। সকাল ৮ টা ৫৯ মিনিটে পুনরায় ট্রেনটি মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে। এসময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ৮০ কিলোমিটার। পৌছায় ৪০ মিনিটে। সকাল ১০ টা ১১ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এসময় ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ১০০ কিলোমটিার। ট্রেনটি মাওয়া পৌছায় ৩৪ মিনিটে। পুনরায় ট্রেনটি মাওয়া থেকে ১১ টা ১৭ মিনিটে ছেড়ে আসে । ভাঙ্গা পৌছায় মাত্র ৩০ মিনিটে। এসময় পদ্মা সেতুসহ গন্তব্যে পৌছাতে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ উঠানো হয়। ট্রেনের দূর্বার গতিতে মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় । ট্রেনটি চোখের পলকেই পাড়ি দেয় বিভিন্ন স্টেশন হাট বাজার জনপদ। ট্রায়াল চলাকালে মধ্যকার কোন স্টেশনেই থামেনি ট্রেনটি। দূর্ঘটনা এড়াতে রেলপথজুড়ে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ প্রকল্পের রেল লাইন(ট্রাক) ইনচার্জ সৈয়দ শওকত হোসেন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি ট্রীপ দেয়া হয়েছে। প্রথমটি ৬০ কিলোমিটারে, দ্বিতীয়টি ৮০ কিলোমিটারে, তৃতীয়টি ১০০ কিলোমিটারে ,চতুর্থটি ১২০ কিলোমিটারের উপরে চালিয়ে এ রেল লাইনের সক্ষমতা প্রমান হলো। পদ্মা সেতু পার হতে আজ সর্বনিম্ন ৩ মিনিট সময় লেগেছে।
মাওয়া ভাঙ্গা সেকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, এ রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনে ডিজাইন স্পীড ছিল ১২০ কিলোমিটার। আমরা আজ সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ১২৫ কিলোমিটার। এসময় মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় ট্রেন। এ জন্য আমরা ৪ ধাপে এগিয়েছি। এ যাত্রাপথ ছিল খুবই আরামদায়ক, বিদেশের মতো।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply