মাদারীপুরসময় ডটকম ডেক্সঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটার এ.এম ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক (সাবেক আলাউদ্দিন ক্লিনিক) সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় ক্লিনিকটিতে থাকা তিনজন সিজারের রোগী রেখেই পালিয়ে যায় মালিক, নার্স, স্টাফ সহ সবাই।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ. কে.এম শিবলী রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অনিয়মের মধ্যদিয়ে কালকিনির ভুরঘাটার এ.এম ক্লিনিকটি (সাবেক আলাউদ্দিন ক্লিনিক) পরিচালিত হয়ে আসছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় এক মাস আগেও এই ক্লিনিকটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।তখন সকল অনিয়ম দূর করতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ১ সপ্তাহ সময় দেয়া হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সময় বাড়িয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়। নির্ধারিত ঐ সময়ের মধ্যে সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গোপনে সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল এ.এম (সাবেক আলাউদ্দিন ক্লিনিক) ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকটির টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে ওটিতে বৃষ্টির পানি পড়ছে। যা সরাসরি ওটি টেবিলের উপর গিয়ে পড়ছে। এছাড়া ওটির লাইট এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদির উপরও বৃষ্টির পানি পড়ছে। তাছাড়া সকল যন্ত্রপাতি অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন। কোন ল্যাব টেকনেশিয়ানও নেই ক্লিনিকটিতে।সকল পরীক্ষানিরীক্ষা একজন অদক্ষ সহকারী করে থাকে বলে জানা যায়। নেই কোন ডিউটি ডাক্তার ও নার্স । এই ক্লিনিকে যে সমস্ত সিজার বা অন্যান্য অপারেশন হয় তার কোন ওটি নোটও পাওয়া যায়নি। নেই কোন সার্বক্ষনিক এমবিবিএস চিকিৎসক।
অভিযানকালে অসুস্থ রোগী রেখে এ.এম ক্লিনিক (সাবেক আলাউদ্দিন ক্লিনিক) এন্ড ডায়গনস্টিকের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনগন।তারা বলেন, “এভাবে রোগী রেখে সবাই সরে গেলো,একবারও রোগীদের কথা ভাবলোনা ! এরা আসলে মানুষ নামের অমানুষ,যাদের কাছে রোগীরদের জীবনের চেয়ে টাকাই বড়। অবিলম্বে এসব ক্লিনিক বন্ধের দাবী জানান স্থানীয়রা।
অভিযান সম্পর্কে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কে এম শিবলী রহমান জানান, “প্রায় একমাস আগে এই ক্লিনিকে অভিযান করে মৌখিক সতর্ক করা হয়েছিল। তখন ক্লিনিকের সকল অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রেখে যাবতীয় অসংগতি দূর করার জন্য তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গোপনে ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাছাড়া গতকাল অভিযানকালে ক্লিনিকটিতে গিয়ে ডিউটি ডাক্তার বা নার্স কাউকে পাওয়া যায়নি।এছাড়াও এখানে কোন প্যাথলজিস্টও নেই।ক্লিনিকটি বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযানে পাওয়া যাবতীয় তথ্য ইউএনও কে জানানো হয়েছে।অচিরেই ক্লিনিকটি বন্ধ করা হবে।”
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টটর মোঃ ইকরাম হোসেন সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply