ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশের ন্যায় বেশ বিপাকে আছে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার সাধারণ মানুষজন।নিম্নবিত্ত থেকে থেকে মধ্যবিত্ত কেউই যেন রেহাই পাচ্ছেন না দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কবল থেকে।
আমদানি হলেও এখনও চড়া পেঁয়াজের বাজার।দেশি পেঁয়াজ-রসুন ও ডালের দামও তুলনামূলক বেশি, সুখবর নেই মসলার বাজারেও।ওদিকে রেকর্ড গড়ে অতঃপর রথ থেমেছে ডিমের। অন্যদিকে কিছুটা স্থিতিশীল দেখা গেছে সবজি ও চালের বাজার।
রবিবার (১০ই সেপ্টেম্বর) মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ফজলগঞ্জ বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় প্রায় সব পণ্য। এরমধ্যে নতুন করে কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সাত-আট দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে অস্বাভাবিক বাড়ার পর দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে এখন ২০০টাকা কেজি দ্বরে।
সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্য কিছুটা কমলেও এখনও পণ্য দুটির উচ্চমূল্যই রয়েছে বলা চলে। চালের বাজারও উচ্চমূল্যে স্থির রয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে বাড়তি দামেই এসব পণ্য ক্রয় করলেও বাজারে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। সবকিছুই কম কম করে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না। তবে খরচ বেড়েছে ৩-৪ গুণ। টিকে থাকাটাই মুশকিল।
তারা আরও বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুব দ্রুত তারা বিপদে পড়বেন। তখন আর চলার উপায় থাকবে না।
পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বিগত চার-পাঁচ দিনে দেশি রসুনের মুল্য কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা হ্রাস পেয়ে ২৪০ টাকার স্থলে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দামও ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আদা, জিরাসহ অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি।
বাদামি রঙের ডিমের হালি ৫৫ থেকে ৬০ এবং হাসের ডিম প্রতি হালি ৬০থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আগের মতোই সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি কিনতে আসা আল-আমিন বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা বাড়তি দরে বিক্রি করছেন। কেনার উপায় নেই। বাজারে যদি সংকট থাকত, তা হলে মানা যেত। কিন্তু সংকট নেই। দাম বেশি। তাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সবজি কিনতেও কষ্ট হচ্ছে।
হতাশা প্রকাশ করে বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী হেলাল খান বলেন, বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু আয় তো বাড়েনি। বাঁচতে তো হবে। এ জন্য বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম পন্য কিনেই ফিড়তে হচ্ছে বাড়ি।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply