কালকিনি(মাদারীপুর)প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে আহত হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার পৌর ৫নং ওয়ার্ডের বিভাগদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন কালকিনি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বিভাগদী গ্রামের মোঃ হালান হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার দুলু (৩৫),তার বড় ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (১২) ও ছোট ছেলে রাহাত হাওলাদার (৫)।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়নিয়ে প্রতিবেশী মিজান হাওলাদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।এ নিয়ে প্রায় দুই মাস আগে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীরা।পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সালিশ মিংমাসা করে দিলে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ তুলে নেয়।পরবর্তী পুনঃরায় প্রতিবেশী মিজান হাওলাদারের পরিবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হালান হাওলাদারের পরিবারের লোকজনের সাথে দ্বন্দ চালিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে বাড়ির একটি গাছের ডাল কাটা নিয়ে উভয় পক্ষের তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে মিজান হাওলাদার ও তার ছেলে রবিউল হাওলাদার সহ তার পরিবারের লোকজন হালান হাওলাদারের স্ত্রী সন্তানদের উপর কুড়াল ও রড দিয়ে হামলা চালায়। এতে হালান হাওলাদারের স্ত্রী ও দুই ছেলে আহত হন।
আহতদের মধ্যে রহিমা আক্তার দুলুকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুসরাত বলেন,আমাদের এখানে বিকেল ৪ টার দিকে কয়েকজন আহত রোগী আসে।তাদের মধ্যে একজনের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুলুর ননদ জানিয়া আক্তার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিজান হাওলাদারের পরিবারের লোকজন হামলা করে আমার বড় ভাইয়ের বউ সহ ভাতিজাদের গুরুতর আহত করেছে।আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত মিজান হাওলাদারের ছেলে রবিউল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এই হামলার ঘটনায় আমরা কোন জড়িত নই।বরং তারাই আমার বাবাকে ধাওয়া করে এবং তাদের নিজেদের ছোড়া পিরির আঘাতে নিজেরা আহত হয়েছে।
এব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ পদেক্ষপ গ্রহণ করা হবে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply