স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:
দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ানো ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় স্বামী সুমন শিকদারকে তালাক দিয়ে দেয় স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তালাক দেয়ার কিছুদিন পর অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায় স্ত্রীর। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রাক্তন স্বামী সুমন শিকদার। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয় সাবেক স্ত্রীর মুখ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে সুমন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানায়, প্রেমের সম্পর্কে ৪ বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরের চর এলাকার সিরাজ শিকদারের ছেলে সুমন শিকদারের সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের। তাদের ঘরে এক শিশু কন্যা সন্তানও রয়েছে। সংসার জীবনের শুরু থেকেই সুমনের কাজে অনিহা ও মাদকসেবী হওয়ার কারনে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। একপর্যায়ে সাদিয়া তাকে তালাক দিয়ে দেয় এবং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। একথা সুমনের কানে পৌঁছাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। পরে ঘটনার দিন বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে সুমন সাদিয়ার উপর এসিড ছুড়ে মারে। এসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা সাদিয়াকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করে। বর্তমানে সাদিয়া সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরো বলেন, এ ঘটনায় পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তারের বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর পর গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সুমন শিকদার। ঘটনার পর তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিরচর হতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এছাড়াও তার সাথে আরো কয়েকজন সহযোগী ছিলো। তাদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply