ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের খাজনা মুক্ত ঘোষণা করেছেন পৌরমেয়র মো. আলী আকসাদ ঝন্টু। পৌর মেয়রের এমন ঘোষণায় কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌর সদর বাজারে ১৮ থেকে ২০ জন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে মাস শেষে বাজারের ইজারাদারদের ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এছাড়াও বাজারের অস্থায়ী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকে দৈনিক ২০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা দিতে হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে আলফাডাঙ্গা পৌরমেয়র ঝন্টু আগামী পাঁচবছরের জন্য তাদের প্রত্যেকের সব খাজনা মুক্ত করে নিজস্ব অর্থায়নে পরিশোধ করার ঘোষণা দেন।
বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. এরশাদ সর্দার, ফারুক হোসেন, মো. ইয়ার আলী, মাহমুদুর রহমান ও শ্যামল বালা জানান, ‘আগে বাজারের ইজারাদারদের প্রতিমাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এখন থেকে আমাদের এ খাজনার টাকা পৌরমেয়র পরিশোধ করে দেবেন। আমাদের আর খাজনা দিতে হবে না। পৌর মেয়রের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা মেয়রের জন্য প্রাণভরে দোয়া করি। ’
প্রদীপ বিশ্বাস নামে বাজারের অস্থায়ী এক কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী জানান, ‘আমি মাঝেমধ্যে হালকা কিছু শাক-সবজি বাজারে এনে বিক্রি করি। এতে সীমিত কিছু টাকা লাভ হয়। কিন্তু এজন্য আমাকে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এখন আমার এ খাজনার টাকা মেয়র দিয়ে দেবেন। এতে আমি অনেক খুশি। ’
খাজনা মুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা পৌরমেয়র ঝন্টু বলেন, ‘বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর পক্ষে সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে তাদের খাজনা মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে তাদের খাজনা আমি নিজ তহবিল থেকে পরিশোধ করে দেবো। এতে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবেন।’
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply