এস এম আরাফাত হাসান, মাদারীপুরঃ
আইয়ুব খান সামরিক ক্ষমতা বলে যে কৌশলে পাকিস্তানের ক্ষমতা হরণ করেছিলো আইয়ুব খানের যোগ্য ভাব শিষ্য সামরিক জিয়াউর রহমান বেইমান মোস্তাকের যোগসাজশে ১৫ ই আগস্ট বংগবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যা করে রাস্ট্র ক্ষমতা দখল করে।
ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়ার যোগ্য কুপূত্র তারেক জিয়া ভেবেছেন পিতা জিয়াউর রহমান পৃথিবী থেকে বংগবন্ধু কে সরিয়ে দিয়ে নেতা হয়েছে।
আমি যদি শেখ হাসিনা কে পৃথিবী থেকে বিদায় করতে না পারি তা হলে রাস্ট্র ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে পারবো না, নেতাও হতে পারবো না।
বিএনপি জামাত শিবির জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশকারায় পুত্র তারেক জিয়া হাওয়া ভবন অফিসে শ্যডো গভর্মেন্ট সৃষ্টি করে সরকারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে। বেগম খালেদা জিয়া ঠুটোঁ জগন্নাথ মন্ত্রী আমলা পাইক পেদা নেতা সবাই হাওয়া ভবন মুখী।
হাওয়া ভবনে বসে আফগান ফেরৎ জংগী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে শলাপরামর্শ করে আওয়ামী লীগ কে নেতৃত্ব শূন্য করতে শেখ হাসিনা কে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট ২৩ বংগবন্ধু এভিনিউ রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠ পোষকতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শান্তি সবাবেশের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ। সরকারের বাধার কারণে কোন মঞ্চ তৈরী করা যায় নাই।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নেতৃবৃন্দ সহ ট্রাকের উপর দাড়িয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময়ে আসপাশের বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর থেকে পূর্ব পরিকল্পনা মত মূহুর মূহুর আর্জেজ গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ২৪ জন নেতা কর্মী হত্যা করে তার মধ্যে কালকিনির ঢাকায় শ্রমিক লীগ কর্মী নাসির মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন শহাস্রাধীক নেতাকর্মী গ্রেনেডের স্প্রিন্টারে আহত হন। শেখ হাসিনা কে নেতাকর্মীরা মানববর্ম বেস্টন করায় আল্লাহ অপার কৃপায় প্রাণে বেঁচে যান।
গগনবিদারী আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায় তার মধ্যে বর্বর সরকার পুলিশ দিয়ে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে ধোয়ায় অন্ধকার করে লাঠিচার্জ করে সীমরের বর্বরোচিত ঘটনা কে হার মানিয়েছে। আমার ভাই সাহাবুদ্দীন ফরাজী অনেকের সাথে ট্রাকের পাশে থেকে শ্লোগান দিচ্ছিলেন গুরুতর আহত হলেন। আমি মাদারীপুর শহরে তাৎক্ষণিক মিছিল বেড় করলাম হরতাল ঘোষণা করে দিলাম।
আমাদের নেতা ইরশাদ হোসেন ইজ্জল আমাকে বল্লেন আপনি এই রাতে বাসে ঢাকা চলে যান সাহাবুদ্দীন ও নাসিম ভাই আহত ওর কথা মত চলে এলাম কোথায় খুজবো যে হাসপাতালে যাই আহত লোকের আর্তনাদ কাউকে চেনা যায় না এত লোক খুঝেও পাই না। চলেগেলাম সুধাসদনে আপার সামনে আমি একি দেখছি এ কোন হাসিনা আপা।
চারিদিকে এত লয় ক্ষয় কাকের কা কা শব্দ ককিলের কন্ঠ নিস্তব্ধ বিভৎস বিভীশিখা ধ্বংস স্তুপের উপর দাড়িয়ে সকলের চিকিৎসার খোজ নিচ্ছেন আমাকে বলেন তোর ভাই সাহাবুদ্দীন ফরাজী সিকদার মেডিকেল নাসিম বাংলাদেশ মেডিকেলে যা ঐ খানে যা। সিকদার মেডিকেলে সাহাবুদ্দীন কে পেলাম ব্যান্ডেজে মোড়ানো চেনার উপায় নাই, পাশের রুমে আঃরাজ্জাক, ওবাইদুল কাদের সহ অনেক হাসপাতাল ভর্তি সেখান থেকে চলেগেলাম বাংলাদেশ মেডিকেল নাসিমের কাছে ঐ একই অবস্থা সমস্ত দেহ ব্যান্ডেজে মোড়ানো মনে হলো আমার ভাই থেকে ও বেশী আহত।
মাননীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা তড়িৎগতিতে ভারত সরকারের সাথে বিষেশ করে শ্রী প্রণব মুখার্জি ও সোনিয়া গান্ধীর সাথে যোগাযোগ করে সকলের চিকিৎসার ব্যবস্হা করলেন। দিল্লি স্কট ব্যয়বহুল হাসপাতালে আমার ভাই কে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে আনেন।
আমরা ছোট খাটো কর্মী পিতা আনোয়ার হোসেন ফরাজী বঙ্গবন্ধুর কর্মী ছিলেন মুক্তি যুদ্ধ -৭১ এ আমাদের বাবা কে পাকিস্তানি হায়েনা ধরে এ আর হাওলাদার জুট মিলে টর্চার সেল অমানুষিক নির্যাতন করে পংগু করে দেয়। ইয়াহিয়ার সাধারন ক্ষমায় মুক্তি পান। ৭১ এ মুক্তি যুদ্ধ করেছি, ১৫ই আগস্ট বংগবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ঘরের বেড় হই ভারতে আশ্রয় নেই, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনে ভূমিকা রেখেছি, অদ্যবোদি সংগঠনের রয়েছি।
যখনই সংগঠনের উপর আঘাত এসেছে সেই আঘাত কমবেশি আমাদের পরিবারেও লেগেছে। আমরা তো অত বড়ো নেতা পর্যায়ের লোক নই আমরা দলের ছোট খাটো কর্মী।
১৫ই আগস্ট ও ২১ শে আগস্টের নারকিয় হত্যাকান্ড পৃথিবীর বর্বরোচিত নিঃসংশ বিয়োগান্তক ঘটনার মত দুঃখ জনক ঘটনা।
এই সব হৃদয় বিদারক ঘটনায় যে সব লোক মৃত্যু বরন করেছেন আল্লাহ তুমি তাদের শহীদের মর্যাদায় বেহেশত নসীব করুন, অন্য যারা মরণ ব্যধি বিশাক্ত স্প্রীন্ডার দেহে বহন করে আহত হয়ে ধুকে ধুকে বেচে আছেন তাদের কে পূর্বের ন্যয় সুস্থ করে দিন।
আল্লাহ রহমানে রাহিম, শেখ হাসিনা কে আমাদের জন্য বাচিয়ে রেখেছেন। সকল প্রশংসা আল্লাহর।
– বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিরোধ যোদ্ধা সিরাজ ফরাজী সহ-সভাপতি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
এই ওয়েবসাইটের সকল স্বত্ব madaripursomoy.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Leave a Reply